ঢাকা ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাহায্য লাভে যেভাবে দোয়া করতে বলেছেন বিশ্বনবি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তাআলার কাছে ইসমে আজম-এর গুরুত্ব এত বেশি যে, কেউ যদি এ নামে তাকে ডাকে বা তার কাছে কোনো কিছু চায়, আল্লাহ তাআলা সঙ্গে সঙ্গে তাকে তা দিয়ে থাকেন। তার দোয়া কবুল করে থাকেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসের বর্ণনায় ইসমে আজমের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে (আবু মুসাকে) এ রূপ বলতে শুনলেন যে-

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ أَسْئَلُكَ بِاَنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِىْ لَمْ يَلِدْ وَ لَمْ يُوْلَدْ وَ لَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً اَحَدٌ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ; তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তুমি এক, অনন্য, মুখাপেক্ষীহীন ও অন্যের নির্ভরস্থল। তুমিই সেই মহান সত্ত্বা যে নাকি কাউকে জন্ম দেননি আর কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমকক্ষ কেউ হতে পারবে না।’

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে আল্লাহ তাআলাকে তাঁর ইসমে আজম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামের সঙ্গে ডাকল; যা দ্বারা যখন কেউ তাঁর (আল্লাহর) কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং যা দ্বারা কেউ যখন তাঁকে ডাকে, তিনি তার ডাকে সাড়া দেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)।

হাদিসের আমল ও নির্দেশনা
এ হাদিসে ইসমে আজমের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, আশ্রয় ও দোয়া করার বিষয়ে আহ্বান করা হয়েছে। আবার দোয়া কবুল হবে এ নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে। মূল কথা হলো বান্দাকে আল্লাহর কাছে যে কোনো বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না; আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহকে তার ইসমে আজমের সঙ্গে ডাকা। তাঁর কাছে চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থনা করা। তাঁর কাছেই সব বিষয়ের সাহায্য চাওয়া বান্দার জন্য সর্বোত্তম এবং কল্যাণের। কারণ তিনিই বান্দার আশা-ভরসার নির্ভরযোগ্য স্থল।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটির মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণে ডাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে নিজেদের অভাব-অনটন দূর ও দোয়া কবুল করিয়ে নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সাহায্য লাভে যেভাবে দোয়া করতে বলেছেন বিশ্বনবি

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ নভেম্বর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আল্লাহ তাআলার কাছে ইসমে আজম-এর গুরুত্ব এত বেশি যে, কেউ যদি এ নামে তাকে ডাকে বা তার কাছে কোনো কিছু চায়, আল্লাহ তাআলা সঙ্গে সঙ্গে তাকে তা দিয়ে থাকেন। তার দোয়া কবুল করে থাকেন। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসের বর্ণনায় ইসমে আজমের গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে (আবু মুসাকে) এ রূপ বলতে শুনলেন যে-

اَللَّهُمَّ اِنِّىْ أَسْئَلُكَ بِاَنَّكَ اَنْتَ اللهُ لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِىْ لَمْ يَلِدْ وَ لَمْ يُوْلَدْ وَ لَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً اَحَدٌ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ; তুমি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। তুমি এক, অনন্য, মুখাপেক্ষীহীন ও অন্যের নির্ভরস্থল। তুমিই সেই মহান সত্ত্বা যে নাকি কাউকে জন্ম দেননি আর কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। আর তার সমকক্ষ কেউ হতে পারবে না।’

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে আল্লাহ তাআলাকে তাঁর ইসমে আজম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামের সঙ্গে ডাকল; যা দ্বারা যখন কেউ তাঁর (আল্লাহর) কাছে কিছু প্রার্থনা করে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং যা দ্বারা কেউ যখন তাঁকে ডাকে, তিনি তার ডাকে সাড়া দেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)।

হাদিসের আমল ও নির্দেশনা
এ হাদিসে ইসমে আজমের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, আশ্রয় ও দোয়া করার বিষয়ে আহ্বান করা হয়েছে। আবার দোয়া কবুল হবে এ নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে। মূল কথা হলো বান্দাকে আল্লাহর কাছে যে কোনো বিষয়ে সাহায্য প্রার্থনায় বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না; আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, আল্লাহকে তার ইসমে আজমের সঙ্গে ডাকা। তাঁর কাছে চাহিদা অনুযায়ী প্রার্থনা করা। তাঁর কাছেই সব বিষয়ের সাহায্য চাওয়া বান্দার জন্য সর্বোত্তম এবং কল্যাণের। কারণ তিনিই বান্দার আশা-ভরসার নির্ভরযোগ্য স্থল।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটির মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণে ডাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে নিজেদের অভাব-অনটন দূর ও দোয়া কবুল করিয়ে নেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।